বাংলাদেশ কি সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে পারবে—এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর এটা নিয়ে এতটাই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল যে শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়েছে বিসিবিকে। তাতে জানানো হয়েছে, র্যাঙ্কিংয়ে অন্তত সেরা নয়ে জায়গা করে নেওয়ার জন্য এখনো ২৪টি ম্যাচ আর যথেষ্ট সময় হাতে আছে।
অভিজ্ঞতাটা যে এবার হয়ে যাবে না, তা জোর দিয়ে বলার সুযোগ কম। দুশ্চিন্তাটা বেশি ব্যাটিং নিয়েই। এ বছর খেলা ৮টি ওয়ানডের মধ্যে মাত্র একটিতে বাংলাদেশ অলআউট হয়নি। পুরো ৫০ ওভার খেলাটাই যেন এখন মেহেদী হাসান মিরাজের দলের কাছে কঠিন এক কাজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবারও প্রথম দুই ওয়ানডেতে অলআউট হয়েছে তারা।
দ্বিতীয় ম্যাচের অভিজ্ঞতাটাই বেশি বাজে। ১৯১ রানের কম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটিই এখন পর্যন্ত তাঁদের সর্বনিম্ন রান। এই ম্যাচের পর ব্যাটিং–ব্যর্থতার যে কারণ বলেছেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ, তা চিন্তাটা আরও বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ নাকি বোলার দেখে নয়, খেলেছে রশিদ খানদের নাম দেখে!
বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে গতকাল আবুধাবিতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা রিশাদ হোসেনের মতে ভুল দলের সবাই-ই করেছেন, ‘আমরা সবাই ভুল করেছি। দল হিসেবে আমাদের খারাপ সময় যাচ্ছে। কীভাবে এটা নিয়ে কাজ করব, কীভাবে সামনের দিকে যাওয়া যায়, এসব নিয়ে ভাবছি। তবে সবাই ১১০% দিচ্ছে।’
ব্যাটিং–ব্যর্থতা বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আজ বড় বিপদেই পড়তে হতে পারে বাংলাদেশকে। র্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে তো বটেই, মানসিকভাবেও বড় ধাক্কা খাবে তারা। দেশে ফেরার দিন তিনেক পরই ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে মাঠে নামতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। রিশাদ অবশ্য বলেছেন, শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় নিয়েই দেশে ফিরতে চান তাঁরা, ‘দুইটা ম্যাচ হেরেছি। সবাই চাইছে শেষ ম্যাচটা জিতে যেন ভালোভাবে দেশে ফেরা যায়।’

