৭ ডিসে ২০২৫, রবি

আয়ের দিক থেকে অ্যাপল-মেটাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে অনলিফ্যানস!

রাজস্ব-দক্ষতার দিক থেকে প্রযুক্তি সংস্থা এনভিডিয়া, অ্যাপল এবং মেটাকে টেক্কা দিল প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইট অনলিফ্যান্‌স। ব্রিটেন-ভিত্তিক এই ওয়েবসাইটই নাকি এখন বিশ্বের সবচেয়ে রাজস্ব-দক্ষ (রেভেনিউ-এফিশিয়েন্ট) সংস্থা।

এমন তথ্য উঠে এসেছে আর্থিক এবং বিপণন সংস্থা বারচার্টের রিপোর্টে। বারচার্টের ওই রিপোর্ট বলছে, বিশ্বব্যাপী যেকোনো সংস্থার চেয়ে অনলিফ্যানস কর্মীপ্রতি বেশি আয় করে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মীপ্রতি তিন কোটি ৭৬ লাখ ডলার আয় করে দুষ্টু তারকাদের প্ল্যাটফর্মটি। যা এনভিডিয়া, অ্যাপল, এবং মেটার মতো ‘জায়ান্ট’ প্রযুক্তি সংস্থাকে বিশাল ব্যবধানে পিছনে ফেলে দিয়েছে।

এনভিডিয়ার কর্মীপ্রতি গড় আয় ৩৬ লাখ ডলার। রাজস্ব-দক্ষ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংস্থাটি। এর পর তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কার্সার, অ্যাপল এবং ম‌েটা। ওই তিন সংস্থার কর্মীপ্রতি আয় যথাক্রমে ৩৩, ২৪ এবং ২২ লাখ ডলার। তারও পরে রয়েছে গুগল এবং ওপেনএআই।

লাখ লাখ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর অনলিফ্যানসে প্রতিনিয়ত ছবি এবং ভিডিও আপলোড করেন। অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরির সংস্থায় কাজ করেন মোট ৪২ জন কর্মী। সংস্থার বার্ষিক আয় ১৩০ কোটি ডলারেরও বেশি। ফলে কর্মীপ্রতি সংস্থার আয় প্রায় ৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।

অনলিফ্যানসের অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ। অনলিফ্যানসের ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাডাল্ট ছবি-ভিডিও তৈরি এবং বিক্রি করে সাবস্ক্রিপশন এবং টিপসের মাধ্যমে সরাসরি অর্থ উপার্জন করে তারা।

মোট আয়ের ৮০ শতাংশ পান ওই কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা। কমিশন হিসাবে আয়ের ২০ শতাংশ নিজেদের কাছে রাখে অনলিফ্যানস।

২০২৪ অর্থবর্ষে অনুরাগীরা পর্নোগ্রাফি প্ল্যাটফর্মে খরচ করেছিলেন ৭২২ কোটি ডলার। এর অর্থ হলো, এর থেকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা আয় করেছেন ৫৮০ কোটি ডলার। অনলিফ্যানস আয় করেছে ১৪১ কোটি ডলার, যা মোট রাজস্বের ২০ শতাংশ।

কিন্তু এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা সংস্থার কর্মচারী হিসাবে গণ্য হন না। অন্য দিকে, সংস্থার মূল কর্মীর সংখ্যা মোটে ৪২ জন। এই ৪২ জন কর্মী সংস্থার ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত কাঠামো এবং অন্যান্য বিষয়ে নজর দেন।

কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে অনলিফ্যানস এগিয়ে থাকলেও সংস্থাটির মোট আয় অ্যাপল, গুগলের মতো প্রধান প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর থেকে অনেক কম। অ্যাপল, গুগল, মেটা এবং মাইক্রোসফটের মতো সংস্থাগুলোর কর্মীপ্রতি আয় কম হলেও বার্ষিক মোট আয় অনেক বেশি।

কর্মীর সংখ্যা কম হওয়ায় কর্মীদের পিছনে খরচের তুলনায় অনলিফ্যানসের আয় হয় বেশি। কিন্তু এনভিডিয়া, অ্যাপল বা মেটার ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর আয় যেমন বেশি, তেমন কর্মীর সংখ্যাও অনেক। ফলে কর্মীপ্রতি আয় তুলনামূলকভাবে কম।

গত পাঁচ বছরে অনলিফ্যানসের উত্থান হয়েছে নজরে পড়ার মতো। সংস্থার মাধ্যমে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য।

একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে অনলিফ্যানসে কন্টেন্ট বিক্রি হয়েছিল ৫৫৫ কোটি ডলারের। ২০২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৬৬৩ কোটি ডলার। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ৯ শতাংশ বেড়ে মোট আয় ৭২২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *