এক বছরের ব্যবধানে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু, ডিম, মাছ, মাংস, চিনি, মসলাসহ প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু পণ্যের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। কিন্তু এই সময়ে সাধারণ মানুষের আয় তেমনভাবে বাড়েনি। এর ফলে আয়ের সঙ্গে বাড়তি ব্যয়ের হিসাব মেলাতে পারছে না বেশির ভাগ মানুষ। বিদায়ি বছরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির রেকর্ড ছিল। এতে খাদ্যতালিকা কাটছাঁট করেও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে অস্বস্তিতে মানুষএমন পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সরকার গঠনের পরই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
আমদানি করা পণ্যের সঙ্গে দেশে উৎপাদিত পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য মূলত বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদ ও বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, সরকারের দায়িত্বরত বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর জোরালো ভূমিকা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁরা নানা অজুহাতে যখন তখন পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছেন।
আপনার মতামত লিখুন :