লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ
জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!
রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।
ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ না হলে স্লটের বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!

২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।
এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।
এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।
এ ম্যাচ দিয়েই লিভারপুলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে আলোচিত স্ট্রাইকার আলেক্সন্দার ইসাকের। তবে খুব একটা ভালো খেলতে পারেননি। ৫৮ মিনিটে তাঁকে তুলে নিয়ে উগো একিতিকেকে নামান কোচ স্লট।

ফন ডাইকের গোলের পর লিভারপুল সমর্থকেরা আনন্দে উন্মাতাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি আতলেতিকোর কোচ দিয়েগো সিমিওনে। লিভারপুলের কয়েকজন সমর্থকদের দিকে তেড়ে যান এই আর্জেন্টাইন। নিরাপত্তাকর্মীরা এসে তাঁকে সরিয়ে না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেত।
সিমিওনের এমন আচরণ স্বাভাবিকভাবেই বরদাস্ত করেননি রেফারি। তাঁকে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে আতলেতিকোর ডাগআউট থেকে বের দেন। যার অর্থ, আগামী ৩১ সেপ্টেম্বর আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকবেন সিমিওনে।
অথচ ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে অ্যান্ডি রবার্টসন ও মোহাম্মদ সালাহর গোলে ব্যবধান ২–০ করে ফেলার পর মনে হচ্ছিল, স্লটের জন্মদিনে বুঝি অনায়াসেই জিতে যাবে লিভারপুল।
তার ওপর জুলিয়ান আলোরেজ ও থিয়াগো আলমাদা চোট ও ফিটনেসজনিত কারণে এ ম্যাচে না থাকায় আতলেতিকো শুরুতেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতায় ফেরাবে, তা অনেকেই হয়তো কল্পনা করেননি।

কিন্তু দুই ফরোয়ার্ড আলভারেজ–আলমাদার অভাব বুঝতে দেননি ডিফেন্ডার মার্কোস ইয়োরেন্তে! স্প্যানিশ এই রাইট–ব্যাক প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এক গোল শোধ করেন, ৮১ মিনিটে করেন আরেক গোল।
অ্যানফিল্ড থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারা আতলেতিকোর জন্য লাভজনকই হতো। সিমিওনের দল সেদিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে দমিনিক সোবোসলাইয়ের কর্নার কিক থেকে বক্সের জটলায় লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করে আতলেতিকোকে হতাশ ডোবান ফন ডাইক।
চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের পরের ম্যাচ আগামী ৩১ সেপ্টেম্বর তুর্কি ক্লাব গালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে।
থুরামের জোড়া গোলে ইন্টারের জয়

অ্যানফিল্ডে মার্কোস ইয়োরেন্তের জোড়া গোল বৃথা গেলেও ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় মার্কাস থুরামের জোড়া গোল আয়াক্সের বিপক্ষে ইন্টার মিলানকে ২–০ ব্যবধানের জয় এনে দিয়েছে।
ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জেতা লিলিয়ান থুরামের ছেলে মার্কাস থুরাম গোল দুটি করেছেন ৫ মিনিটের ব্যবধানে। একটি বিরতির ঠিক আগে, আরেকটি বিরতির পরপর।
Leave a Reply