৭ ডিসে ২০২৫, রবি

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন শুধুই এক দিনের ক্রিকেট খেলবেন তিনি। ২২৪ দিন পর ভারতের জার্সি গায়ে খেলতে নামছেন বিরাট কোহলি। পার্থে প্রথম এক দিনের ম্যাচের আগে কোহলি জানালেন, এখন আগের থেকেও বেশি ফিট তিনি। ভারতের নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর ও প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকে কী বার্তা দিলেন কোহলি?

পার্থে খেলা শুরু হওয়ার আগে ‘ফক্স স্পোর্টস’-এ অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন কোহলি। সেখানেই শাস্ত্রী তার ফিটনেস ও মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করেন। দু’টি ফরম্যাট ছেড়ে দেওয়ার পর শুধুমাত্র একটি ফরম্যাটের জন্য নিজেকে তৈরি রাখা কতটা কঠিন, সেই প্রশ্ন করেন শাস্ত্রী।

জবাবে কোহলি বলেন, “গত ১৫-২০ বছরে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। বিশ্রামই পাইনি। আমিই বোধহয় সবচেয়ে বেশি ক্রিকেট খেলেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি আইপিএলও খেলেছি। তাই এই বিশ্রাম আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মানসিক ভাবে নিজেকে তরতাজা রাখতে খুব সুবিধা হয়েছে।”

বিশ্রাম নিলেও শারীরিকভাবে যে তিনি এখনও আগের মতোই রয়েছেন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, “এই সিরিজের আগে নিজেকে শারীরিকভাবে তৈরি রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লন্ডনে যে সময় কাটিয়েছি সেটা কাজে লাগিয়েছি। আমি এমন একজন ক্রিকেটার, যে প্রস্তুতি ছাড়া খেলতে নামে না। এই সিরিজেও সেটাই দেখা যাবে। আমি তৈরি। শারীরিকভাবে এখন আগের থেকেও বেশি ফিট।”

অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল ঘোষণার সময় ভারতের নির্বাচক প্রধান আগরকর জানিয়েছিলেন, ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে যে কোহলি ও রোহিত খেলবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে জল্পনা চলছে, অস্ট্রেলিয়াতেই দেশের জার্সিতে শেষ সিরিজ খেলে ফেলতে পারেন তারা। যদিও কোহলি স্পষ্ট করে দিলেন, শারীরিক ভাবে তৈরি তিনি। তার ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এই বার্তার পর ফিটনেসের কারণ দেখিয়ে কোহলিকে দলের বাইরে রাখতে সমস্যায় পড়বেন আগরকর, গম্ভীরেরা।

এই অস্ট্রেলিয়াতেই তারকা হয়েছিলেন কোহলি। এই দেশে বহু স্মরণীয় ইনিংস রয়েছে তার। টেস্টে কোহলির শেষ শতরানও এই মাঠেই। সে কথা তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন গিলক্রিস্ট। অস্ট্রেলিয়ায় খেলার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কোহলি নিজেও।

তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে সব সময় ভাল লাগে। এখানে খেলা কঠিন। অনেক লড়াই লড়েছি। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকেরা সব সময় আপনাকে চাপে রাখবে। কিন্তু ভাল খেললে দু’হাত তুলে হাততালিও দেবে। এখানে খেলার অভিজ্ঞতাই আমাকে কোহলি বানিয়েছে।”

সূত্র: আনন্দবাজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *