ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল এখন শীতের প্রতীক্ষায়। সেই একই প্রশ্ন ঘুরছে বাংলাদেশের আকাশেও—কবে নামবে কাঙ্ক্ষিত শীত?
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মৌসুমি বায়ু ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে আর উত্তর দিক থেকে বইতে শুরু করেছে হালকা হিমেল হাওয়া। কমছে দিনের তাপমাত্রা, ভোরের কুয়াশা আর সকালের ঠান্ডা বাতাস জানিয়ে দিচ্ছে—বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
তবে দেশের উত্তরাঞ্চল ছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলে জানুয়ারির আগে তীব্র শীতের দাপট অনুভূত নাও হতে পারে।
কবে থেকে শীত নামবে—এমন প্রশ্নে আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী অঞ্চলে শীতের সূচনা হবে। এরপর ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে। ঢাকায় ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে পুরোপুরি শীত নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর শীতের আগমন কিছুটা দেরিতে হলেও জানুয়ারিতে একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্মুখীন হতে পারে দেশ। তাদের মতে, বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি ও বাতাসে জলীয়বাষ্প বৃদ্ধির কারণে এবার ঘন কুয়াশার মাত্রা বাড়বে। সেই কুয়াশা দিনের বেলা সূর্যালোক বাধাগ্রস্ত করবে, ফলে শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়জুড়ে একাধিক মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে তিন থেকে চারটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সকালবেলা ঘন কুয়াশা ও শিশির পড়া নিয়মিত দৃশ্য হয়ে উঠবে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আবহাওয়া সবজি চাষ ও আমন ধানের ফলনের জন্য কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

