৭ ডিসে ২০২৫, রবি

এসবির হিসাবে ২৮ হাজার ৬৬৩টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮ হাজার ৬৬৩টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। এর মধ্যেহাজার ২২৬টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, গত ২০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রাক্প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে এসবির পক্ষ থেকেতথ্য জানানো হয়আজ রোববার ওই বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। সেখানে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র থাকছে ৪২ হাজার ৭৬১টি। সে হিসাবে ৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রই এবার ঝুঁকিপূর্ণ।

কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, ইসির ওই বৈঠকে কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই ও ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে বিভিন্ন বাহিনীর পক্ষ থেকে শঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি বলেন, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হলে নির্বাচনে সেনাবাহিনী আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী মালামালের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যেতে পারে। নির্বাচনী কাজের জন্য সেনাবাহিনীকে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখা যেতে পারে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, ভোটার ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্য বাহিনীগুলোর মধ্যে অন্তঃসমন্বয় থাকতে হবে। নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ওপর হামলা, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, ভোট প্রদানে বাধা প্রদান ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদানসহ বসতবাড়িতে হামলা বা অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা থাকতে পারে। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সারা দেশে ৬২টি জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে। নির্বাচনের আগের তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনপরবর্তী চার দিনসহ মোট আট দিন সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা যেতে পারে।

এসবির পক্ষ থেকে বৈঠকে বলা হয়, নির্বাচনকালে অবৈধ অস্ত্রের জোগান আসতে পারে। অবৈধ অর্থের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

বৈঠকে সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়া (সামাজিক মাধ্যম) ও এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে নির্বাচনে গুজব ছড়ানো হতে পারে। ইতিমধ্যে এ ধরনের অনেক কনটেন্ট (আধেয়) শনাক্ত করা হয়েছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য র‍্যাবের সাইবার ইউনিট কাজ করছে।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বাচন পরিচালনা একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব। কমিশনের একার পক্ষে দেশব্যাপী এক দিনে নির্বাচনের মতো এত বড় কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এ জন্য সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। আসন্ন নির্বাচনে অনেক প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে, সমন্বয় এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতা দূর করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *