৭ ডিসে ২০২৫, রবি

চট্টগ্রামের উইকেটে আজ থেকে লিটনদের বিশ্বকাপের ‘রিহার্সাল’

বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের এই সিরিজ নিয়েই মূল আলোচনা থাকার কথা ছিল। কিন্তু কাল অধিনায়ক লিটন দাসের এক সংবাদ সম্মেলন সব আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দল নির্বাচন নিয়ে তাঁর মতামত নেওয়া হয় না, এই অভিযোগ নিয়ে একরকম তোলপাড়ই তৈরি হয়েছে।

তবে এসব সরিয়ে রেখে যে ১৫ জন স্কোয়াডে আছেন, তাঁদের নিয়েই আপাতত মনোযোগী হওয়ার কথা বলেছেন লিটন। টানা চার সিরিজ জেতার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গিয়ে এই চট্টগ্রামেই বাংলাদেশ হয়েছিল ধবলধোলাই। ওই সিরিজের আগে অধিনায়ক লিটন বলেছিলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যেন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেও তিনি বললেন একই কথা। তবে এবার যোগ করলেন ভিন্ন এক চাওয়া, ‘আমি চাই, আমাদের খেলোয়াড়েরা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ুক। কিন্তু যে জিনিসটা হয়েছে, শেষ সিরিজে আমরা জিততে পারিনি। এবার চেষ্টা করব কঠিন সময় থেকে বের হয়ে যেন ম্যাচগুলো জিততে পারি।’

কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আগে পরপর দুটি সিরিজ খেলছে চট্টগ্রামে। এখানকার উইকেট সাধারণত ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক হয়, টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপেও থাকার কথা এমন উইকেট। শীতের শুরুর সময়টায় শিশিরের কারণে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করেন লিটন।

ব্যাটিংসহায়ক উইকেটেও বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে মিডল অর্ডার। গত কয়েকটি সিরিজে মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটসম্যানরা আশানুরূপ ভালো করতে পারেননিযে কারণে শামীমকে বাদ দিয়ে মাহিদুল ইসলামকে নেওয়া হয়েছেতা নিয়েই এত তোলপাড়

তবে মিডল অর্ডার নিয়ে তেমন দুশ্চিন্তা নেই লিটনের, ‘খুব একটা চিন্তিত না মিডল অর্ডার নিয়ে। অবশ্যই আমাদের খেলোয়াড়েরা শেষ দুয়েকটা সিরিজে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি। কিন্তু তারা সবাই প্রুভেন। আমি আশাবাদী, তারা এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে।’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের দুই জয়ের সর্বশেষটি ছিল এই চট্টগ্রামেই, ২০২৩ সালে। তবে এবার তিন ম্যাচের সিরিজ ছাপিয়ে আইরিশদের চোখ বিশ্বকাপেও। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারতে বিশ্বকাপ খেলার আগে কাছাকাছি কন্ডিশনে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চায় তারা।

এর সঙ্গে আরও কিছু চাওয়ার কথা জানিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা কার্টিস ক্যাম্পার, ‘ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা আক্রমণাত্মক ও ইতিবাচক থাকতে চাই। বোলিংয়ের সময় কিছু উইকেট নিতে চাই আর যত কম রানে পারা যায়, তাদের আটকাতে চাই। আশা করি, এসব বিশ্বকাপে আমাদের কাজে দেবে।’

চট্টগ্রামের উইকেট কেমন দেখতে চান, এ নিয়ে তিনি দিয়েছেন মজার একটা উত্তরও, ‘পিচটা ২২ গজ থাকবে (হাসি), দুই দলের জন্য একই। আশা করি, অনেক রান হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *