বছরের সবচেয়ে বড় ও শেষ সুপারমুন দেখল বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। শীতের মধ্যে আবির্ভাব হয়েছে বলে বছরের শেষ এই সুপারমুনের নাম দেয়া হয়েছে ‘কোল্ড সুপারমুন’।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে উজ্জ্বল এক সুপারমুনের দেখা মিলেছে। সময় ভেদে যা নজর কেড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের। অসাধারণ এক জোছনা উপভোগ করতে পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী লাহোরে একত্রিত হন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শত শত মানুষ। পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করেন বছরের অন্যতম বৃহৎ সুপারমুন।
এদিকে এমনই এক কাল্পনিক দৃশ্যের মত বাস্তব চিত্র দেখা যায় মিশরের কায়রো সিটাডেলে। সুপারমুনের সময় সিটাডেলের পেছনে আকাশ আলোকিত হয় এক অপররূপ দৃশ্যে, যা কোনও ভৌতিক রুপকথার গল্পের থেকে কম নয়।
এদিন আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসের রিও দে লা প্লাতার তীরেও জড়ো হয়েছিল হাজারো মানুষ। লাতিন আমেরিকার দেশটির কেউ কেউ এমনকি হাতে ট্যাটু করেও এই বিরল দৃশ্য উপভোগ করেন।
অনেক অঞ্চলের বাসিন্দারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিংবা বাড়ির ছাদ থেকে অবাক চোখে উপভোগ করেছে বছরের শেষ এই সুপারমুন। অক্টোবরের হার্ভেস্ট মুন এবং নভেম্বরে বিভার মুনের পর কোল্ড মুন ছিল, এ বছরের তৃতীয় সুপারমুন।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, বছরে তিন থেকে চারবার সুপারমুন দেখা যায়। আর সেগুলো সাধারণত নিয়মিত বিরতিতেই আসে। এ বছরের আগের সুপারমুন দুটো দেখা দিয়েছিল ৭ অক্টোবর এবং ৫ নভেম্বর।
চাঁদ যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে সেটিকেই সুপারমুন বলা হয়। এই সময়ে চাঁদকে পৃথিবী থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় এবং উজ্জ্বল দেখায়, কারণ এটি পৃথিবীর কক্ষপথের নিকটতম বিন্দুর কাছাকাছি থাকে। সাধারণত বছরে তিন থেকে চারটি সুপারমুন দেখা যায়। এটি ২০২৫ সালে তিন নম্বর সুপারমুন।

