৭ ডিসে ২০২৫, রবি

সরকারি ফ্রি মিল খেয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ৮০০ জন স্কুল শিক্ষার্থী অসুস্থ

ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি উদ্যোগে চালু করা বিনামূল্যের খাবার খেয়ে অন্তত ৮০০ স্কুল শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে। চলতি সপ্তাহে দু’টি আলাদা ঘটনায় এই গণ বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে।

দেশটির কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, এটি প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচির অধীনে সবচেয়ে বড় গণ বিষক্রিয়ার ঘটনা।

একটি ঘটনায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট অব ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, এই কর্মসূচি চালুর পর থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি শিশু এই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছে। এর ফলে কর্মসূচির তত্ত্বাবধান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পশ্চিম জাভার গারুত অঞ্চলের পাঁচটি স্কুলের ৫৬৯ জন শিক্ষার্থী বুধবার বমি বমি ভাব এবং বমিতে আক্রান্ত হয়। তারা এর আগের দিন একটি রান্নাঘর থেকে সরবরাহ করা মুরগি ও ভাত খেয়েছিল। গারুত আঞ্চলিক সরকারের সচিব নূরদিন ইয়ানা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শুক্রবার পর্যন্ত ১০ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল, বাকিরা সুস্থ হয়ে উঠেছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল, বাকিদের বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। ইয়ানা আরও জানান, স্থানীয় সরকার ওই রান্নাঘরের নজরদারি বাড়াবে। তবে এই কর্মসূচি বন্ধ করা হবে না বরং শিক্ষার্থীদের এখন থেকে রুটি, দুধ, সেদ্ধ ডিম এবং ফলের মতো সাধারণ খাবার দেওয়া হবে।

প্রোগ্রামের সাথে সম্পর্কিত আরেকটি গণ বিষক্রিয়ার ঘটনা বুধবার সেন্ট্রাল সুলাওয়েসি প্রদেশের বাঙ্গাই দ্বীপপুঞ্জে ঘটেছে। এতে ২৭৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। এই কর্মসূচির তত্ত্বাবধানে থাকা ন্যাশনাল নিউট্রিশন এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই এলাকায় খাবার বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

প্রাবোওয়ের মুখপাত্র প্রাসেত্যো হাদি শুক্রবার জানান, সরকার এই বারবার ঘটা ঘটনার জন্য দুঃখিত, যা অবশ্যই আমাদের কাম্য ছিল না। এই কর্মসূচির মান ও তত্ত্বাবধান নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে ২ কোটির বেশি প্রাপক এই কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। এ বছর শেষে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ প্রাপকের কাছে এই সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা সরকারের। এ প্রকল্পের বাজেট ১৭.১ ট্রিলিয়ন রুপিয়া (প্রায় ১,০৩২ কোটি মার্কিন ডলার)। আগামী বছর এই কর্মসূচির বাজেট দ্বিগুণ করা হবে।

সূত্র: রয়টার্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *