৭ ডিসে ২০২৫, রবি

১৯ টি দেশের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

ইউরোপের বাইরে থাকা ১৯টি দেশের সব ধরনের অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া অস্থায়ীভাবে স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্থগিতাদেশের তালিকায় থাকা এই ১৯টি দেশের ওপর গত জুন থেকেই আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। নতুন পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য অভিবাসনে আরো কঠোর হল ট্রাম্প প্রশাসন।

অভিবাসন সাময়িকভাবে স্থগিতের তালিকায় যে দেশগুলোর নাম উল্লেখ রয়েছে তার মধ্যে আছে- আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

এই দেশগুলোর ওপর গত জুনে সবচেয়ে কঠোর অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছিল। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সম্পূর্ণভাবে এসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

১৯টি দেশের তালিকায় আরও আছে: বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। এই দেশগুলোর ওপর গত জুনে আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

নতুন নিয়মের আওতায় এসব দেশের অভিবাসীদের যে আবেদনগুলোর সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে সেগুলো স্থগিত করা হবে এবং তাদেরকে সম্পূর্ণ পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যাতে সব ধরনের জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা ঝুঁকি যাচাই করা যায়।

নতুন নীতির নির্দেশিকা হিসেবে প্রকাশিত সরকারি স্মারকে কয়েকটি সাম্প্রতিক অপরাধের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যা অভিবাসীরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের ওপর হামলার ঘটনাটিরও উল্লেখ আছে।

ওই হামলায় এক আফগান নাগরিককে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। হামলায় এক ন্যাশনাল গার্ড সেনা নিহত এবং আরেকজন গুরুতরভাবে আহত হন।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সোমালীয়দের বিরুদ্ধে কঠোর রণকৌশল নিয়েছেন এবং তাদেরকে ‘অবর্জনা’ বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন “আমরা চাই না তারা আমাদের দেশে থাকুক।”

জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছেন, বড় শহরে ফেডারেল এজেন্ট পাঠানো এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *