‘তেরে ইশক মে’তে প্রেমের বহুমাত্রিক রূপ তুলে ধরেছেন আনন্দ এল রাই। ছবির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণি তারকা ধানুশ ও বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। গত শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর থেকেই আলোচনায় সিনেমাটি। বক্স অফিসে আয়ও মন্দ নয়, সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
কত আয় করল
মুক্তির মাত্র তিন দিনের মধ্যে ৫০ কোটি রুপির গণ্ডি পার করেছে ছবিটি। প্রথম দিন সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও সিনেমাটি সবাইকে চমকে দিয়ে ১৭ কোটি রুপি আয় করে, যার মধ্যে ১৫ দশমিক ২৫ কোটি হিন্দি সংস্করণ থেকে এবং ৭৫ লাখ রুপি আসে তামিল সংস্করণ থেকে। মুক্তির চতুর্থ দিনেও ছবিটি বক্স অফিসে দাপট বজায় রেখেছে। গতকাল সোমবার চতুর্থ দিনেও ছবিটি আয় করেছে ৮ দশমিক ২৫ কোটি রুপি। এতে মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি।
হিন্দি সিনেমায় ধানুশের প্রত্যাবর্তন
‘রানঝানা’র পর দীর্ঘদিন ধানুশ হিন্দি সিনেমার বাইরে ছিলেন। আনন্দ এল রাইয়ের সঙ্গেই তাঁর সেই ছবি ব্লকবাস্টার হয়েছিল। পরে ‘অ্যাতরঙ্গি রে’তে আবারও তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেন। তবে সিনেমাটি সরাসরি ওটিটিতে মুক্তি পায়। ‘তেরে ইশম মে’র মধ্যে নির্মাতা ও পরিচালকের সফল জুটির প্রত্যাবর্তন হলো।
সিনেমার গল্প
ছবিতে ধানুশকে দেখা গেছে এক আবেগপ্রবণ, অস্থির স্বভাবের তরুণের চরিত্রে। যে প্রেমে পড়ে মুক্তির (কৃতি শ্যানন)। কলেজজীবনে সম্পর্ক জমে উঠলেও পরে মুক্তি অন্য এক পুরুষকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়, আর সেখান থেকেই গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। এ আর রাহমানের সংগীত পরিচালনায় সিনেমার গানগুলো মুক্তির আগে থেকেই জনপ্রিয় হয়েছে।
কী বলছেন সমালোচকেরা
সাধারণ দর্শক পছন্দ করলেও সমালোচকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে সিনেমাটি; বেশির ভাগই এটিকে ‘চলনসই’ সিনেমা বলছেন। দ্য হিন্দুতে সিনেমাটির রিভিউয়ে লেখা হয়েছে, ‘ধানুশের বিস্ফোরক আবেগ আর কৃতি শ্যাননের ভঙ্গুর প্রতিক্রিয়া—এই দুইয়ের টানাপোড়েনে তৈরি আনন্দ এল রাইয়ের নতুন প্রেমকাহিনি মহাকাব্যিক বিস্তারে গড়া; কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে দর্শকের ধৈর্যেরও পরীক্ষা নেয়।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, ‘একবার দেখার জন্য ছবিটি খুব খারাপ নয়; কিন্তু আনন্দ এল রাইয়ের কাছে প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল।’
হিন্দুস্তান টাইমস, দ্য হিন্দু অবলম্বনে

