শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে অনেকেই সকাল-বিকেল হাঁটার পরামর্শ দেন। তাতে সামগ্রিকভাবে ফিটনেসও বজায় থাকে। চিকিৎসকরাও বলছেন, এই একটি অভ্যাস ফুসফুসের জন্যও ভালো। শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ছোট থেকে বড়—সহজে এই অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন।
নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস ফুসফুসের সঙ্গে কার্ডিয়োভাসকুলার সিস্টেমকেও ছন্দে কাজ করতে সাহায্য করে। সারা শরীরে অক্সিজেনের ব্যবহারও হয় সঠিকভাবে। শুধু তাই নয়, হাঁটলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত পেশিগুলোও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। শুধু তাই নয়, শ্বাসনালিতে আটকে থাকা দূষিত পদার্থ শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।
অনেকেই বলেন, হাঁটলে বুকে কষ্ট হয়। হাঁপিয়েও যান অনেকে। পালমোনোলজিস্টরা বলছেন, কয়েকদিন সাধারণ ভঙ্গিতে হাঁটলেই যে ফুসফুসে বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা বেড়ে যাবে, বিষয়টা তেমন নয়। তবে শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্ষমতা অবশ্যই ধীরে ধীরে উন্নত হবে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের নমনীয়তা কমে আসে
শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে হাঁটলে সেই সমস্যা অনেকটা নিরাময় হয়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত হাঁটলে হার্ট ও ফুসফুসের মধ্যে সমতাও বজায় থাকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত হাঁটলে যে ফুসফুস আকারে বড় হয়ে যায় এমনটা কিন্তু নয়। তবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত ফুসফুসের পেশিগুলো মজবুত হয়। শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছায় সহজে।

