৭ ডিসে ২০২৫, রবি

ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করছে। ইতোমধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে।

আবহাওয়াবিদদের ধারণা, এই নিম্নচাপটি রবিবার (২৬ অক্টোবর) গভীর নিম্নচাপে এবং সোমবার (২৭ অক্টোবর) পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘মন্থা’। এর অর্থ থাই ভাষায় ‘সুগন্ধি ফুল’ বা ‘সুন্দর ফুল’।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) ভারতের আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত করতে পারে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় তিন ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইএমডির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ঝড়টি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে দিক পরিবর্তন করলে এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলেও পড়তে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে সরাসরি আঘাত হানলেও এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও খুলনায়। ঝড়ের সময় ভারী বৃষ্টিপাত, জোয়ার ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কা থাকায় উপকূলীয় জনগণকে আগাম প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *