৭ ডিসে ২০২৫, রবি

তথ্য সুরক্ষায় ক্লাউডের পরিবর্তে সিডি ডিভিডি কি ফিরে আসতে পারে?

গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, ছবি, ভিডিও থেকে শুরু করে সবধরনের ডাটা এখন নিশ্চিন্ত মনে সবাই ক্লাউডে জমা রাখছেন। কিন্তু কতটা সুরক্ষিত এই স্টোরেজ ডিভাইস? এর মাধ্যমে আদৌ কি গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা সম্ভব?

এসব প্রশ্নে ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় শোরগোল পড়ে গেছে। শুধু তা-ই নয়, সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে ফের পুরনো দিনের সিডি বা ডিভিডি ফিরে আসার কথাও বলতে শোনা গেছে বিশ্লেষকদের গলায়।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশই মনে করেন, ক্লাউডের মতো স্টোরেজ ডিভাইসে গোপন তথ্য সুরক্ষিত থাকে না। কারণ এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীর হাতে নেই। এজন্যই আগামী দিনে সিডি বা ডিভিডির মতো ডিভাইসগুলো খুব দ্রুত বাজারে ফিরবে বলে মনে করছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট ডিভাইসগুলো থেকে গ্রাহকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা শুধু কঠিনই নয়, একরকম যে অসম্ভব তা বলাই বাহুল্য।

ক্লাউডে রাখা ব্যবহারকারীর সব তথ্য থাকে সার্ভারে। আর তাই সেখানে সাইবার অপরাধীদের নজর পড়ার আশঙ্কা পুরোটাই। অন্যদিকে সিডি বা ডিভিডি গ্রাহকের নিজের সম্পত্তি। সেখানে রাখা তথ্য ব্যবহারকারী ছাড়া অন্য কারোর পক্ষে মুছে ফেলা বা চুরি করা সম্ভব নয়।

দ্বিতীয়ত, ক্লাউড পুরোপুরি ইন্টারনেট নির্ভর। সেখানে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ওই ডিভাইসে রাখা তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবেন না গ্রাহক। অন্যদিকে অফলাইন অবস্থাতেও দিব্যি চালানো যায় সিডি বা ডিভিডি।

তৃতীয়ত, খরচের দিক থেকে ক্লাইড বেশ ব্যয়বহুল। কারণ সংশ্লিষ্ট স্টোরেজ ডিভাইসটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দিতে হয় ভাড়া। সিডি বা ডিভিডির ক্ষেত্রে সেসবের কোনো কিছুরই দরকার নেই।

তা ছাড়া এই হার্ডঅয়্যারগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি স্টোরেজ বলা যেতে পারে। যাতে ২০ থেকে ৩০ বছরের জন্য তথ্য যত্ন সহকারে রাখতে পারবেন গ্রাহক। ক্লাউডের ক্ষেত্রে কিন্তু সার্ভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই।তবে নতুন করে বাজারে সিডি বা ডিভিডি ফেরানোর ব্যাপারে রয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন হবে সিডি প্লেয়ার বা ডিভিডি প্লেয়ারের। নতুন করে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ইনস্টল করতে হবে ওই সিস্টেম। যা বেশ খরচ সাপেক্ষ। ফলে সেই রাস্তায় নির্মাণকারী সংস্থাগুলো হাঁটবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *