৭ ডিসে ২০২৫, রবি

আওয়ামী লীগ, জাপা, ১৪–দলীয় জোটকে নির্বাচনের বাইরে রাখলে ভোটে যাবেন না কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ৪৩ শতাংশ, জাতীয় পার্টির (জাপা) ১৪ শতাংশ, আমাদের আছে ৩ শতাংশ ভোট। যদি আওয়ামী লীগের ভোটাররা ভোট দিতে না পারে, যদি জাতীয় পার্টি ও বামপন্থী ১৪দলীয় জোটকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়, তাহলে আমি গামছা নিয়ে ভোটে যাব না। আমরা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। শুধু বিএনপি, শুধু জামায়াত নির্বাচন করলে নির্বাচনে আসব, তা হবে না।’

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইউনূস সাহেবকে অনেক বড় মানুষ ভাবছিলাম। শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলত, তখন আমি আপনার পাশে ছিলাম। আপনি খোদার ঘর বাইন্ধা আসেন নাই। গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ নাম দিয়ে যা বানাইছেন, তা নিয়ে সামনে আপনার বিপদ আছে। আপনি বাংলার মানুষকে চিনেন নাই। এনজিও চালানো আর দেশ চালানো এক কথা নয়। এখনো সময় আছে, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করুন।’

জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ করে এই নেতা বলেন, ‘এই দল সব সময় উল্টো পথে চলে। যখন আমরা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলাম, তখন জামায়াতে ইসলামী ব্রিটিশদের গোলামি করত, ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়েছিল। যখন আমরা বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, তখন তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘জামায়াত খুবই লাফালাফি করছে। জামায়াত যদি একা ইলেকশন করে পাঁচ সিটও পায়, তাহলে আল্লাহকে হাজির নাজির করে বলছিভাবব, আমার রাজনীতি এখনো শেখা হয়নি। তাদের হয়তো অনেক টাকা হয়েছেতারা মুক্তিযুদ্ধে যে অপরাধ করেছে, তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। এমন ক্ষমা চাইতে হবে, যে রকম আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে তারা ক্ষমা চায়। সেই রকম বাংলাদেশের মানুষের কাছে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চাইতে হবে। জানি, এসব কথা জামায়াতের তিতা লাগবে।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মানুষকে অত্যাচার করেছেজুলুম করেছেতারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সিএনজি স্টেশনে চাঁদা তুলেছে। ৫ আগস্টের পর একটি দল আওয়ামী লীগের চেয়ে ৪ থেকে ১০ গুণ চাঁদাবাজি করেছে। শেখ হাসিনার যখন পতন হয়, তখন মানুষের মনে ধানের শীষ ছিল এক নম্বরেএখন ধানের শীষ মানে পেটের বিষ

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না। আমি বঙ্গবন্ধু করি, আমি মুক্তিযুদ্ধ করি, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাই। আমি জয় বাংলা করি। সরকার বাহাদুরকে বলে গেলাম, জয় বাংলা বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে প্রথম গ্রেপ্তার করেন। সেখানেও আমি বলব, আমি জয় বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জয় বাংলা বলেই আমার জীবন দিয়ে যেতে চাই।’

উপজেলার বহেড়াতৈল ফুটবল খেলার মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *