৭ ডিসে ২০২৫, রবি

ডিমে শিশুর অ্যালার্জি কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন, সমাধান কী

ডিমকে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বিশ্বজুড়ে বিবেচনা করা হয়। উচ্চ প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের কারণে একে অনেকেই ‘সুপার ফুড’ বলেন। আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায়ও ডিম থাকে নিয়মিত। তবে অন্যান্য অ্যালার্জির মতোই ডিমেও অ্যালার্জি হতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সুখবর হলো, শিশুদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই অ্যালার্জি পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে সেরে যায়। এরপর সাধারণত ডিম খেলে আর সমস্যা থাকে না।

কেন হয়

শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ‘অচেনা’ বা ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে শনাক্ত করে। ফলে ঠিক যেভাবে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এখানে সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবেও হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ

ত্বকে লাল লাল চাকা, একজিমা।

পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা মুখের চারপাশে চুলকানো।

সর্দি, শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট হওয়া।

দ্রুত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমে যাওয়া।

অ্যানাফাইলেকসিস শক।

রোগনির্ণয়

শিশুকে প্রথম ডিম খাওয়ানোর সময় অ্যালার্জি উপসর্গ বোঝা যায়।

চিকিৎসক যদি মনে করেন ডিম বা ডিমযুক্ত খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়, তবে তা স্কিন টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন।

চিকিৎসা

ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার না খাওয়া।

অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দমনে অ্যান্টি হিস্টামিন, মারাত্মক অ্যানাফাইলেকসিসে শক ইনজেকশন এপিনেফ্রিন ব্যবহার।

ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করা যেমনএলবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *