হেমন্তের রোদ আর ভোরবেলার হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে, শীত আসতে দেরি নেই। আবহাওয়া বদলের এই সময়ে ত্বকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পায়ের পাতা। গোড়ালিতে আঘাত করে ঠান্ডা আর শুষ্ক বাতাস।
গোড়ালির ত্বক রুক্ষ হয়, শক্ত হয়, তারপর দেখা দেয় ছোট ছোট চির। অনেকের তো পা ফেটে ব্যথা ও রক্তপাত পর্যন্ত হয়। কারও কারও তো সারা বছরই পা ফাটে। তাদের ক্ষেত্রে শীতকাল এলে এই সমস্যা বেড়ে যায় বহুগুণ। পা ফাটা থেকে বাঁচতে পরামর্শ দিলেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
পা পরিষ্কার রাখুন
সারা দিনে আমাদের পায়ে জমা হয় অনেক ধুলাবালু ও জীবাণু। দিন শেষে কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে নিলে আরাম ও উপকার—দুই-ই পাবেন। দূর হবে পায়ে জমে থাকা ধুলাময়লা ও ব্যাকটেরিয়া। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন লবণ মেশানো গরম পানিতে ১০-১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখলে পায়ের গোড়ালির মৃত ত্বক নরম হয়ে আসে। এতে স্ক্রাব করাও সহজ হয়।
স্ক্রাব করুন
হেমন্ত বা শীতের শুষ্ক বাতাস ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। গোসলের সময় ঝামা বা ফুট স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি হালকা ঘষে নিলে জমে থাকা রুক্ষ চামড়া উঠে যায়।
ময়েশ্চারাইজার দিন
শুষ্ক আবহাওয়ায় দিনে পায়ে অন্তত দুবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে খুব ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। ভারী ময়েশ্চারাইজার বা পেট্রোলিয়াম জেলি শীতের জন্য আদর্শ। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পর পায়ে মোজা পরে নিলে আর্দ্রতা সারা রাত আটকে থাকবে। গোড়ালিও হবে নরম।
কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি
- কয়েক দিন পরপর রাতে ঘুমানোর আগে পেট্রোলিয়াম জেলি ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। গোড়ালি নরম থাকবে।
- পায়ের ত্বকের শুষ্কতা কমাতে নারকেল তেল কার্যকর। তেল হালকা গরম করে পা ও গোড়ালিতে মাখলে পা ফাটা দূর হবে।
- সামান্য মধু নিয়ে পায়ে ভালোভাবে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। পায়ের ত্বক নরম থাকবে।
- মাঝেমধ্যে পায়ে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। বেশ আরাম।
- সমপরিমাণ পেট্রোলিয়াম জেলি ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন লাগালে পা ফাটা অনেকটা কমে যাবে।
- গোড়ালি যদি এতটাই ফেটে যায় যে ব্যথা বা রক্তপাত হতে থাকে, তাহলে যেকোনো ধরনের ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
- এ সময় গোড়ালিতে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
তারপরও অবস্থার উন্নতি না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

