৭ ডিসে ২০২৫, রবি

জেনে নিন হৃদরোগ হলে হাঁসের ডিম খাওয়া যাবে কিনা

কারও প্রিয় মুরগির ডিম, আবার কারও হাঁসের ডিমএকেক জনের পছন্দ একেক রকম ডিমতবে সবাই কমবেশি ডিম খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার আঁশটে গন্ধের কারণে হাঁসের ডিম মুখে তুলতে চান না। কারও আবার মুরগির ডিমে অরুচি। তবে জনপ্রিয়তার কথা বললে দুটিই একে অপরকে টেক্কা দিয়ে থাকে। কিন্তু স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তি বুঝে উঠতে পারেন না কোন ডিম খাবেন। হাঁসের ডিম খেলে বেশি পুষ্টি, নাকি মুরগির ডিম খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর?

আর হাঁসের ডিমে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ মুরগির ডিমের থেকে অনেক বেশি। এর পাশাপাশি হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরল আর লবণের মাত্রাও বেশি। তাহলে কি হার্টের রোগীদের জন্য কোনো ডিমই খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়?

কোনো রকম শারীরিক সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন হাঁসের ডিম খাওয়া যায় এমন প্রশ্ন অনেক ডিমপ্রেমীর মনেই থাকে। এ বিষয়ে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোনো রকম শারীরিক সমস্যা না থাকলে, কোনো ক্রনিক অসুখ না থাকলে সপ্তাহে পাঁচ দিন একটি করে হাঁসের ডিম খাওয়া যেতেই পারে, আর মুগরির ডিম খেলেও কোনো ক্ষতি নেই।

তিনি বলেন, তবে হার্টের রোগীদের ডায়েটে একদম ডিম রাখা যাবে না এমনটি নয়। যাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে, এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীরাও সপ্তাহে তিনটি করে মুরগির ডিম খেতে পারেন। প্রতিদিন ডিমের সাদা অংশ খেলেও ক্ষতি নেই। হাঁসের ডিম সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন বা দুদিনের বেশি খাওয়া উচিত নয়।

প্রসঙ্গত, ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে ১৮৫ কিলো ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। অন্যদিকে ১০০ গ্রাম মুরগির ডিম খেলে পাওয়া যায় ১৪৯ কিলো ক্যালোরি শক্তি। হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে। উভয়ের ডিমেই সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, কপার, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়ামআয়রন থাকেতবে আকারে বড় বলে হাঁসের ডিমে সব কিছুরই পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে। হাঁস ও মুরগি উভয়ের ডিমেই থিয়ামিন, নিয়াসিন, রাইবোফ্লোভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ ও রেটিনল থাকলেও হাঁসের ডিমে সব ভিটামিনের পরিমাণই বেশি থাকে।

By Fhrakib

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *