৭ ডিসে ২০২৫, রবি

হলো না ছাপা ধর্মেন্দ্রর কবিতার বই, আফসোস হেমার

রুপালি পর্দার স্বপ্নের নায়ক ছিলেন ধর্মেন্দ্রসেই সময় বহু ভক্তের হৃদয়ে ঝড় তুলেছেনশোলে’র বীরুবিবাহিত জেনেও নারী ভক্তরা পর্দার বীরুকে দেখে ভালোবাসতেনবেশ কয়েকবার বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষের তকমাও পেয়েছেন ধর্মেন্দ্রকিন্তু তিনি যে এক ড্রিমগার্লের হৃদয়ের রাজা হয়ে উঠবেন, সেটি নিশ্চয়ই আগে থেকে আন্দাজ করতে পারেননি। ঠিক তেমনটিই ঘটেছে এক সিনেমার সেটে। ড্রিমগার্ল হেমা মালিনী যখন ধর্মেন্দ্রর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন, বিয়ের চিন্তা করছিলেন, তখনই সামনে আসে কঠিন বাধার পাহাড়। যার কারণ প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর স্বামীকে ছাড়তে নারাজ। হেমা-ধর্মেন্দ্রের প্রেম কোনো বাধা মানেনি। নিজের ধর্ম বদলে চার হাত এক হয়েছিল দুজনের।

হেমা-ধর্মেন্দ্র সংসার পাতলেও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেননি নায়ক। গণমাধ্যমগুলো বলছে, ধর্মেন্দ্রর জীবনের প্রধান দুই নারীর কখনো সাক্ষাৎ হয়নি, এমনকি আলাদা আলাদা স্মরণসভাও হয়েছে নায়কের। প্রথম স্ত্রী এবং দুই ছেলে সানি এবং ববি দেওলের আয়োজিত স্মরণসভায় দেখা যায়নি হেমাকে। তখন নিজ বাড়িতে গীতা পাঠের আয়োজনে ব্যস্ত হেমা মালিনী।

বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর এক সপ্তাহ কেটে গেছে। তাঁর প্রয়াণের পর একটা ব্যাপারই কেবল কুরে কুরে খাচ্ছে হেমা মালিনীকে। শেষ পর্যন্ত সেই আক্ষেপ প্রকাশ করেলেন বলিউড ডিভা, ড্রিমগার্ল হেমা মালিনী। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর হেমার সঙ্গে দেখা করতে যান পরিচালক হামাদ আল রেয়ামি। তিনি জানিয়েছেন, ভেতর থেকে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো ফেরত চাইছেন। স্বামীকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বারবার চোখ ভিজে উঠছে হেমার। হেমা মালিনীর আক্ষেপ, অভিনেতা নিজের লেখা কবিতাগুলো কখনো ছাপালেন না।

আফসোসের সুরে পরিচালককে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি প্রায়ই বলতাম, তোমার লেখাগুলো প্রকাশ করো।’ জবাবে ধর্মেন্দ্র বলতেন, ‘এখনো কিছু লেখা বাকি।’ কিন্তু সময় থেমে থাকেনি, চলে গেলেন হেমা মালিনীর সবচেয়ে প্রিয় এবং কাছের মানুষটি। অভিনেত্রী বলেন, ‘এবার অচেনা মানুষেরা আসবেন, এসব নিয়ে লিখবেন, কিন্তু তাঁর স্বামীর লেখা শব্দগুলোই আর দিনের আলো দেখতে পেল না।’

হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *