দিনাজপুরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাঘ মাস শুরু হতে আরও একদিন বাকি। কথায় আছে ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’। হিমেল হাওয়ায় দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষ শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন দিনাজপুরে সূর্যের দেখা নেই বললেই চলে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো। দিনাজপুরে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে বিপর্যস্ত এ জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। উষ্ণতার আশায় কেউবা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। রাস্তাঘাটে কমে যায় যানবাহনও। ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে গবাদীপশুগুলো। এসব গাবাদীপশু নিয়ে বিপাকে খামারিসহ কৃষকরা। আবার এই কুয়াশার কারণে আলু চাষে লেট ব্রাইট রোগ দেখা দিয়েছে। ঘনকুয়াশায় বীজতলা নিয়ে চিন্তিত কৃষক।
এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে আবআস আলী বলেন, কয়েক দিন থেকে ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত বেশি হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে যায়। রাতে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
কাজের সন্ধানে দিনাজপুর শহরের ষষ্ঠীতলা মোড়ে এসেছেন দিনমজুর আব্দুর রহিম। তিনি জানান, শীতের সকালে গত দুই দিন ধরে এখানে বসে থেকে চলে যাচ্ছি, কাজ পাচ্ছি না। কনকনে ঠান্ডায় কাজ না পেয়ে তাই আজকেও ফিরে যাচ্ছি বাড়িতে। ঠান্ডার কারণে অনেকে কাজও করাতে চায় না।
অটোচালক ফারুক জানান, কনকনে শীতের কারণে মানুষ বেশির ভাগ কাজ বন্ধ রেখেছে। বাড়ির বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের হয় না তাই ভাড়া পাওয়া যায় না।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় এ মৌসুমে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এটি ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সপ্তাহের শেষের দিকে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :