প্রতি বছরই তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। পরিবারের সকল সদস্যরা মিলে নতুন কোনো জায়গায় উৎসব করতে যান। প্রতি বছরের এবারও তারা পরিবারের সকল সদস্যর মিলে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ভালোভাবে ফেরা হয়নি। পরিবারের ৫ জন সদস্যই ফিরেছেন লাশ হয়ে। আর কয়েকজন ফিরে আসলেও তাদের অসুস্থ অবস্থায় ফিরতে হবে।
যে বাড়িটিতে সকালে ছিলো উৎসবের আমেজ। সকাল গড়িয়ে বিকেলেই সে বাড়িটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী সকলেই শোকাহত। লাশ দেখে চোখের পানি মুছতে মুছতে ফিরে যাচ্ছেন। শান্তনা দেওয়ার মতো যেন কোনো ভাষা নেই। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন প্রতিবেশী মিঠুন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফরিদপুরে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের ৫ জন। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন এক শিশু সহ আর দুইজন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকার রাজবাড়ি-ভাঙ্গা রেল ক্রসিংয়ে ট্রেন একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন সহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের ভূইয়াপাড়া এলাকার ব্যবসায়ি আবু সাঈদের স্ত্রী আতিফা রহমান ভূঁইয়া, ছোট বোন ফাহমিদা শারমিন মুন, মুনের স্বামী ব্যবসায়ি মামুন চৌধুরী লিটন, চাচাতো বোন সাজিয়া আফরিন সাজু, ছোট ভাইয়েইর স্ত্রী উম্মে মাহমুদা রিংকু।
গুরুতর আহত অবস্থায় আবু সাঈদের ভাগ্নি শিশু তাজরিনকে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর মাইক্রোবাস চালক জিন্নাহও ফরিদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। দুপুরের পর এ খবর ভূঁইয়াপাড়া এসে পৌঁছালে পুরো বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনরা ছুটে আসেন ওই বাড়িতে।
তাজবীর রহমান এক আত্মীয় বলেন, ব্যবসায়ি আবু সাঈদের একটি প্রাইভেট কার এবং তার ভগ্নিপতি মামুন চৌধুরী লিটনের ব্যক্তিগত মাইক্রোবাস নিয়ে তারা মঙ্গলবার ভোরে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে তারা আবু সাঈদের শ্বশুর বাড়িতে সাক্ষাত শেষে নারায়ণগঞ্জে ফিরছিলেন। ফেরার পথেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :