যশোর শিক্ষা বোর্ডে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে সেরা সাতক্ষীরা জেলা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর খুলনায় কমেছে পাসের হার।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে যশোর শিক্ষা বোর্ডের ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, যশোর বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। এবার পাসের হারে সেরা সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর ৯০ দশমিক ২১ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা জেলা। তবে তলানীতে রয়েছে নড়াইল জেলা। এই জেলায় পাসের হার ৮০ শতাংশ।
এছাড়া যশোর বোর্ডের অন্য জেলাগুলোর মধ্যে যশোরে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বাগেরহাটে ৮৬ দশমিক ০৬ শতাংশ, কুষ্টিয়ায় ৮৫ দশমিক ২১ শতাংশ, মেহেরপুরে ৮৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গায় ৮৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ঝিনাইদহে ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ ও মাগুরায় ৮০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এদিকে এবারের এসএসসিতে খুলনা জেলায় পাসের হার কমেছে ৫.৫৪ শতাংশ। গত বছর খুলনায় পাসের হার ছিল ৯৫.৭৫ শতাংশ। এবারের পরীক্ষায় পাসের হার ৯০ দশমিক ২১ শতাংশ। এবার এসএসসি পরীক্ষায় খুলনার ৫৭টি কেন্দ্রে ৩৯২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৩ হাজার ৮২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ২১ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী।
ঘোষিত ফলাফলে খুশি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা। ফলাফল হাতে পেয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসিস তারা।
খুলনা নেভি এ্যাঙ্করেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান প্রেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, জিপিএ-৫ পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। আমার ১৩ বছরের পড়াশোনার প্রচেষ্টা আজ সফল হয়েছে। আগামীতেও এভাবে ভালো করার চেষ্টা করবো। এই ফলাফলে শিক্ষক ও আমার বাবা-মায়ের অবদান রয়েছে। সকলের স্বপ্ন আজ পূরণ করতে পেরেছি।
খুলনা করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হানা আজম রাইসা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন অনেক কঠিন ছিল। ভেবেছিলাম প্রত্যাশিত রেজাল্ট আসবে না। কিন্তু রেজাল্ট দেখে খুবই আনন্দিত হয়েছি। জিপিএ-৫ পেয়েছি।
আরেক শিক্ষার্থী তাসমিয়া হোসেন সাইমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।
শারমিন আক্তার নামের এক অভিভাবক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ে ফাইজা তাসনিমের রেজাল্টে খুবই খুশি হয়েছি। তার ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষকসহ আমাদের সকলেরই সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ছিল। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. মাকামী মাকছুদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যালয়টি সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ২৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাস করেছে ২৫৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৩ জন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৯৪।
আপনার মতামত লিখুন :