অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার চুক্তি


জাতীয় কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : মার্চ ২৪, ২০২৩, ৩:১৩ অপরাহ্ন /
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার চুক্তি
নিউজটি শেয়ার করুন

সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দুই প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। প্রস্তাবিত সেই চুক্তির সব শর্ত অবশ্য এখনও চুড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্ত পারাপারের জন্য নাম সেফ থার্ড কান্ট্রি এগ্রিমেন্ট (এসটিসিএ) নামের একটি চুক্তির বিধিমালা অনুসরণ করা হয়। এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সরকার নিজ নিজ সীমান্তের প্রবেশপথ থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফেরত পাঠাতে পারে।

তবে কুইবেক প্রদেশের অনেক অঞ্চলের পরিত্যাক্ত বা অব্যবহৃত সীমান্তপথের ক্ষেত্রে এসব বিধি প্রয়োগ করা হয় না। ফলে এসব এলাকা দিয়ে সমানে অনুপ্রবেশ ঘটছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের।

ব্যাপারটি নিয়ে বেশ চাপে আছেন জাস্টিন ট্রুডো। কারণ কানাডার ফরাসিভাষী অধ্যুষিত প্রদেশ কুইবেকেই তার নির্বাচনী আসন।

এ কারণেই চুক্তিটি সংশোধন ও পরিমার্জন করতে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছেন ট্রুডো। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কানাডার রাজধানী অটোয়াতে পৌঁছেছেন বাইডেন। শুক্রবার তার সঙ্গে ট্রুডোর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সংশোধিত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে এটির আওতায় আগামী বছর মানবতার খাতিরে পশ্চিম গোলার্ধভুক্ত দেশগুলোতে ১৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রহণ করবে কানাডা।

কুইবেক প্রদেশেল রক্সহাম রোড নামের সীমান্ত ক্রসিং অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি পছন্দের পথ। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের ওপর ধরপাকড় অভিযান শুরু করার পর ২০১৭ সালে এই সীমান্ত ক্রসিং নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিল। ওই অভিযানের পর কানাডা সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢলও দেখা গিয়েছিল।

নতুন চুক্তিটি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার পুরো সীমান্ত এলাকাই এসটিসিএর আওতায় আসবে। অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত ক্রসিংয়েও তখন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বাধা দেওয়া যাবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কানাডায় সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল বাড়তে দেখা গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ট্রুডোর কার্যালয়ের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি।

গত বুধবার ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেছেন, বেশ কয়েক মাস ধরে অনিয়মিত সীমান্ত ক্রসিংয়ের মতো জটিল এ ইস্যুর সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকার কাজ করছে। শিগগিরই এ নিয়ে ঘোষণা দিতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।