কৃষিঋণের সুদ মওকুফের পরিকল্পনা নেই সরকারের


জাতীয় কণ্ঠ ডেস্ক প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৫, ২০২৩, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন /
কৃষিঋণের সুদ মওকুফের পরিকল্পনা নেই সরকারের
নিউজটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষিঋণের সুদ মওকুফের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নাজমা আকতারের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কৃষকদের ঋণ দেয় ব্যাংক। আমানতকারীদের ব্যাংকের সুদ দিতে হয় বলে প্রচলিত নিয়মে ব্যাংকের পক্ষে কৃষকদের দেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ করা সম্ভব হয় না।

সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আইএমএফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ পাওয়া যায়নি। একটি ঋণের বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চলমান।

তবে চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া গেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়া গেছে। এ ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। সুদের হার ১ দশমিক ২৫। সেবা মাশুল শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছিল প্রায় তিন লাখ এক হাজার কোটি টাকা। কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।

সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থ পাচারের কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের আইনগত কার্যক্রম চলমান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) পাচারকারী বা পাচারকৃত অর্থের বিষয়ে বিদেশি আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় তা সরবরাহ করে থাকে। বিদেশে (সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ইত্যাদি) ফ্ল্যাট বা বাড়ি ক্রয় অথবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে অর্থ পাচারবিষয়ক বেশ কিছু মামলা দুদকে তদন্তাধীন।