আক্কেলপুরে এক রাতে ৬ থ্রি ফেজ মিটার চুরি, রেখে গেছে ফোন নম্বর


Emu Akter প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৮, ২০২৫, ৯:১৯ অপরাহ্ন /
আক্কেলপুরে এক রাতে ৬ থ্রি ফেজ মিটার চুরি, রেখে গেছে ফোন নম্বর
নিউজটি শেয়ার করুন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নে এক রাতে ৬টি গভীর নলকূপের থ্রি ফেজ বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট রেখে গেছে, যেখানে যোগাযোগের জন্য একটি ফোন নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।

নিয়মিত নলকূপের মিটার চুরির ফলে নলকূপের মালিকরা বিপাকে পড়েছেন। কৃষকরা ফসলের বিশেষ করে আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

জানা গেছে, তিলকপুর ইউনিয়নের পাঠানধারা মাঠ থেকে আজাদ হোসেনের, করমজি মাঠ থেকে আসলাম হোসেনের, পুকুড়িয়া পাড়ার মাঠ থেকে শাহানুর আলম শান্টুর, কয়া গোপীনাথপুর মাঠ থেকে খোরশেদ আলমের, কাদোয়া মাঠ থেকে শহীদুল ইসলামের এবং কয়া গোপীনাথপুর এলাকার মেহেদী হাসানের কারখানার থ্রি ফেজ মিটার চুরি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি মিটার চুরির পর চোরেরা যোগাযোগের জন্য একটি ফোন নম্বর রেখে যায়। নম্বরে যোগাযোগ করলে চোরচক্র বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ফের চুরি করার হুমকি দেওয়া হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত মালিক শাহানুর আলম শান্টু বলেন, ‘নিয়মিত মিটার চুরির কারণে পাহারা দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। চোরেরা চুরির সময় হুমকিও দিয়ে যায়। এর আগেও আমার মিটার চুরি হয়েছে। আমাদের দেখার কেউ নেই।’

কৃষক শাহাদত হোসেন বলেন, ‘ফসলে সময়মতো পানি দিতে না পারলে ফসলের অনেক ক্ষতি হবে। প্রায়ই মিটার চুরির ঘটনা ঘটে, যা আমাদের বড় সমস্যায় ফেলেছে।’

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো কোনো গ্রাহক অভিযোগ করেননি। তবে এলাকায় নিয়মিত মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে। গ্রাহকরা আমাদের বিষয়টি অবগত করলে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করব।’

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘মিটার চুরির বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিয়মিত মিটার চুরির কারণে নলকূপ মালিক এবং কৃষকরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।